বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম সীমান্তে সাতক্ষীরা জেলায় এ উপজেলার অবস্থান । সাতক্ষীরা জেলা থেকে ১২ টি ইউনিয়ন, ২৪৩ টি মৌজা , ২৪৯টি গ্রাম আলাদা করে ১৯৪২ সালে কালিগঞ্জ থানা প্রতিষ্ঠা হয়। ঐ সালের ২১ সেপ্টেম্বর গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পর ১৯৮৩ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কালিগঞ্জ উপজেলার কার্যক্রম চালু হয়। কালিগঞ্জ উপজেলার অবস্থান উত্তর অক্ষাংশের ২৩°২৯' এবং ২৩°৪২' এর মধ্যে ৯০°৫৯' এবং ৯১°০৫ 'দ্রাঘিমাংশের মধ্যে। এ উপজেলার উত্তরে দেবহাটা উপজেলা, দক্ষিণে শ্যামনগর উপজেলা, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিম বঙ্গ, পূর্বে আশাশুনি উপজেলা। কালিগঞ্জ উপজেলা অসীম সম্ভাবনাময়ী একটি ঐতিহাসিক অঞ্চল। এর ভূ-প্রকৃতি শিশ্র উর্বর। এ উপজেলার নামকরণ জানা যায় বর্তমান কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর নিকটবর্তী নারায়নপুরে ছিল কালীবাড়ী । এর নিকটবর্তী সার্কেল অফিস বাজার রাজস্ব অফিস, সেনেটারী অফিস ইত্যাদি অফিস স্থাপিত হওয়ায় তৎকালিন গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ ও প্রশাসনিক শীর্ষ ব্যক্তিগণ এর নাম করণ করেন কালীবাড়ী। মোঘল সেনাপতি মুনিম খাঁ এর মবশ্সত অনুচর দেওয়ান শ্রীহরি (বিক্রমাদিত্য) ও রাজস্ব অধিকর্তা জানকী বল্লভ (বসন্ত রায়) সুন্দরবনের গভীরে গৌড়ের সম্পত্তি গোপন করার ব্যবস্থা করেন। তারা গৌড়ের ধন-সম্পদ এবং দেহরক্ষী বাহিনীর এক অংশ এবং শহরের কিছু লোক নিয়ে গৌড় ত্যাগ করে দক্ষিণ যমুনা ও ইছামতি র পাশে বর্তমান কালিগঞ্জ উপজেলার বসন্তপুর ও শীতলপুর ও মুকুন্দপুর পরিস্খার করে বসতী গড়ে তোলেন। বসন্ত রায় এর নাম অনুসারে বসন্তপুর গ্রামের নাম করণ করা হয়। ১৯৭১ সালে কালিগঞ্জ উপেজলা ৯ নং সেক্টরাধীন ছিল। ১৯৭১ সালের ২০ নেভম্বর কালিগঞ্জ থানা / উপেজলা পাকিস্তানী শত্রু মুক্ত হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস