কালিগঞ্জ উপজেলা সদর হতে বাস বা ভ্যান গাড়ী অথবা অন্যান্য পরিবহন যোগে যাওয়া যায়। এটি কালীগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশঝাড়িয়া বিজিবি ক্যাম্পের পাশে কালিন্দী নদীর সংলগ্ন জেগে ওঠা চর।
সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশঝাড়িয়া বিজিবি ক্যাম্পের পাশে কালিন্দী নদীর সংলগ্ন জেগে ওঠা চরে প্রায় ১৪শ বিঘা চরভরাটে জমিতে মিনি সুন্দরবন সৃষ্ঠি হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তের কালিন্দী নদীর মাঝখানে জেগে ওঠা চরে মিনি সুন্দরবন দেখার জন্য অনেকেই ভিড় জমাচ্ছে। এখানকার বিস্তীর্ণ চর ও গ্রাম জুড়ে এখানে গড়ে উঠেছে সবুজ অরণ্য। সুন্দরবনের অসংখ্যা প্রজাতির উদ্ভিদ বন্যপ্রাণী ও বিভিন্ন প্রকার গাছের দেখা মিলেছে এই বনে। পাশাপাাশি মৌমাছিরা এখানে মধু আহরন করে তৈরি করেছে মৌচাক। এছাড়া পাখিদের বসবাসের জন্য অভয়ারণ্য বলা চলে বনটি। এখানে কেওড়া গাছ সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ-গাছালি পাখি ও বন্য প্রানীদের কারণে নতুন মিনি সুন্দরবন হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে বাঁশঝাড়িয়া এলাকাটি। এই মিনি সুন্দরবনকে ঘিরে এই অঞ্জলে আসার আলো দেখা দিয়েছে।
বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্যতম ম্যানগ্রোভ বন হিসাবে এটি বিস্তৃতি লাভ করায় অনেকটা সম্ভবনার দার খুলে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন উপজেলাবাসী । এ বনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হতে পারে। পাশাপাশি পরিবেশের জন্য এই বন এখন আর্শিবাদ স্বরুপ বলে মনে করছেন অনেকে। বাঁশঝাড়িয়া মিনি সুন্দরবনকে সরকারী যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষনের দাবী জানিয়েছে এলাকার সচেতন মহল। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রনালয়ের যুগ্ন সচিব মাসুদ হোসেন এ মিনি সুন্দরবন পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক আহম্মেদ সহ স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ। এই মিনি সুন্দরবনকে নিয়ে উৎসাহ প্রকাশ করেছেন নেতৃবৃন্দ। এখানে হতে পারে সম্ভাবনাময় একটি পর্যটন কেন্দ্র এছাড়া এ বনকে ঘিরে দূর দুরান্তের দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ছে প্রতিদিন এখানে। কালিগঞ্জ উপজেলা থেকে নদী পথে স্পিড বোড, লঞ্চ, ট্রলার ও নৌকা যোগে বাঁশঝাড়িয়া এই মিনি সুন্দরবনে আসা যায় এছাড়া সড়ক পথে কালিগঞ্জ উপজেলা থেকে প্রায় ১০-১২ কিলোমিটার দুরে মথুরেশপুর ও রতনপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে রতনপুর বাজার দিয়ে ধলবাড়ীয়ার গান্ধুলিয়া মাদ্রাসার সামনের রাস্তা দিয়ে বাঁশঝাড়িয়া মিনি সুন্দরবনে আসা যায়। বাঁশঝাড়িয়া বিজিবি ক্যাম্পের সামনে ওয়াবদহা ভেড়ী বাধের উপর দাড়ালেই বনটি দেখা যায়। অনেক দর্শনার্থী নৌকা যোগে বনের চারিপাশ ঘুরে দেখে থাকেন। বিভিন্ন মিডিয়ায় এই মিনি সুন্দরবনের সংবাদ প্রকাশের পর থেকে নতুন মিনি সুন্দরবনকে এক নজর দেখার জন্য দুর দুরান্ত থেকে ছুটে আসছে এখানে। তথ্যানুসন্ধানে ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা গেছে সুন্দরবনের মূল ভূখন্ড থেকে প্রায় দুইশত কিঃ মিঃ উত্তরে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়ীয়া ইউনিয়নে সীমান্ত ঘেসে যাওয়া খরস্রোত কালিন্দী বিস্তীর্ণ চরে জেগে উঠেছে এই বন। দিন দিন বনের আকার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বনে কেওড়া গাছ ওড়া সুন্দরী সহ নানা প্রজাতির গাছ প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে উঠেছে। এ বনে বাঘ হরিণের দেখা না মিললেও সুন্দরবনের নানা প্রজাতির বণ্যপ্রাণী আছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে এছাড়া দাড়িয়েছে সুন্দরবনের ন্যায় বিশাল অরণ্য ঠিক যেন সুন্দরবনের একটি অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। এখানে বিভিন্ন পাখিদের কলকাকুলিতে বন মুখরিত। এতে এলাকবাসীর মধ্যে যেমন আশার আলো দেখা দিয়েছে তেমনি পরিবেশের জন্য এ বন মায়ের মত আগলে রেখেছে। এখানকার মনোরম দৃশ্য মুগ্ধ করেছে দর্শনার্থীদের। বর্তমানে এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ পুরোপুরি রূপ নিয়েছে সুন্দরবনের মত। প্রকৃতির এক লীলা ভূমিতে পরিণত হয়েছে বাঁশঝাড়িয়া মিনি সুন্দরবন এলাকা। প্রতিদিন দূর দুরান্তের দর্শনার্থীদের পাশাপাশি এলাকার লোকজন অনায়াসে বেড়াতে আসে এখানে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস