কালিগঞ্জ উপজেলা সদরের মধ্যে দিয়ে এই প্রবাহিত নদী। কালিগঞ্জ উপজেলা সদর হতে ভ্যান বা অনন্যা পরিবহন যোগে এই নদীতে যাওয়া যাই।
আদি যমুনা নদী ইছামতির কালিগজ্ঞের (সাতক্ষীরা) বসন্তপুর-দমদম এলাকা হতে উৎপত্তি। কালিগজ্ঞ-শ্যামনগরের মধ্য প্রবাহিত হয়ে মাদারনদী সাথে মিলিত হয় সোনাখালিএলাকায়। পরে মালঞ্চ নদীর সাথে মিলিত হয়ে সাগরে যুক্ত হয়। প্রায় ৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ এ নদীর সাথে ৫০ টির বেশী বিল খালের সংযোগ রয়েছে। প্রবাহের ধারা ইছামতি-যমুনা-মাদার-মালঞ্চ-সাগর । মূলতঃ উপকুলীয় বাঁধ হওয়ার আগ পর্যন্ত এ পথ দিয়ে ইছামতির মিষ্টি পানি প্রবহ সাগরে এবং সাগেরের প্রবাহ ইছামতিতে আসা যাওয়া করতো। এ আসা যাওয়ার মাধ্য দিয়ে নদী ও সংযুক্ত খাল সমুহের নাব্যতা স্বভাবিক, পরিবেশ সহিষ্ণু ও খাদ্য নিরাপত্তা ঝুকিমুক্ত ছিল।
আদি যমুনা নদী হলো সবচেয়ে ঐতিহ্য ও ইতিহাস খ্যাত নদী। বারোভুইয়ার অন্যতম স্বাধীন নৃপতি প্রতাপাদিত্যের রাজধানী ছিল এ যমুনা কুলে। এখনও টিকে আছে নৌপ্রতাশ্রয় জাহাজ ঘাটা। সনাতনী ধর্ম বিশ্বাসীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বারুনের স্নান এ যমুনাতে হয়ে আসছিল। কিন্তু উপকুলীয় বাঁধ নির্মানে প্রবাহমান যমুনা নদীকে বন্ধ খালের পরিনত করে।
বৃটিশ সরকার আদি যমুনা নদী হতে খনন করে কাকশিয়ালি খালকে চম্পাফুল ইউনিয়নের উজরপুরের ত্রিমহনীতে গুতিয়াখালী ও হাবড়া নদীর সাথে যুক্ত করা হয়। ফলে এখানে এসে তিনটি ধারার সাথে কাকশিয়ালির মাধ্যমে ইছামতি-যমুনার সংযোগ সংযুক্ত হয়। কাকশিয়ালির একটি ধারা গুতিয়াখালি নদীর সাথে মিশে ঘুরে দক্ষিন মুখ্ োহয়ে কালিগজ্ঞের বাঁশতলা ও আশাশুনির শ্রীউলার মধ্যবর্তি নদী গলঘেসিয়ার সাথে মিশে খোলপেটুয়ার সাথে যুক্ত হয়। খোলপেটুয়া সাগর থেকে উঠে আসা অন্যতম প্রধান জোয়ার ভাটার নদী।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস