Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
যমুনা নদীর খাল
কিভাবে যাওয়া যায়

কালিগঞ্জ উপজেলা সদরের মধ্যে দিয়ে এই প্রবাহিত নদী। কালিগঞ্জ উপজেলা সদর হতে ভ্যান বা অনন্যা পরিবহন যোগে এই নদীতে যাওয়া যাই। 

বিস্তারিত

আদি যমুনা নদী ইছামতির কালিগজ্ঞের (সাতক্ষীরা) বসন্তপুর-দমদম এলাকা হতে  উৎপত্তি। কালিগজ্ঞ-শ্যামনগরের মধ্য প্রবাহিত হয়ে মাদারনদী সাথে মিলিত হয় সোনাখালিএলাকায়। পরে মালঞ্চ নদীর সাথে মিলিত হয়ে সাগরে যুক্ত হয়। প্রায় ৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ এ নদীর সাথে ৫০ টির বেশী বিল খালের সংযোগ রয়েছে।  প্রবাহের ধারা ইছামতি-যমুনা-মাদার-মালঞ্চ-সাগর । মূলতঃ উপকুলীয় বাঁধ হওয়ার আগ পর্যন্ত এ পথ দিয়ে ইছামতির মিষ্টি পানি প্রবহ সাগরে এবং সাগেরের প্রবাহ ইছামতিতে আসা যাওয়া করতো। এ আসা যাওয়ার মাধ্য দিয়ে নদী ও সংযুক্ত খাল সমুহের নাব্যতা স্বভাবিক, পরিবেশ সহিষ্ণু ও খাদ্য নিরাপত্তা ঝুকিমুক্ত ছিল।

আদি যমুনা নদী হলো সবচেয়ে ঐতিহ্য ও ইতিহাস খ্যাত নদী। বারোভুইয়ার অন্যতম স্বাধীন নৃপতি প্রতাপাদিত্যের রাজধানী ছিল এ যমুনা কুলে। এখনও টিকে আছে নৌপ্রতাশ্রয় জাহাজ ঘাটা। সনাতনী ধর্ম বিশ্বাসীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বারুনের  স্নান এ যমুনাতে হয়ে আসছিল। কিন্তু উপকুলীয় বাঁধ নির্মানে  প্রবাহমান যমুনা নদীকে বন্ধ খালের পরিনত করে।

বৃটিশ সরকার আদি যমুনা নদী হতে  খনন করে কাকশিয়ালি খালকে চম্পাফুল ইউনিয়নের উজরপুরের ত্রিমহনীতে গুতিয়াখালী ও হাবড়া নদীর সাথে যুক্ত করা হয়। ফলে এখানে এসে তিনটি ধারার সাথে কাকশিয়ালির মাধ্যমে ইছামতি-যমুনার সংযোগ সংযুক্ত হয়। কাকশিয়ালির একটি ধারা গুতিয়াখালি নদীর সাথে মিশে ঘুরে দক্ষিন মুখ্ োহয়ে কালিগজ্ঞের বাঁশতলা ও আশাশুনির শ্রীউলার  মধ্যবর্তি নদী গলঘেসিয়ার সাথে মিশে খোলপেটুয়ার সাথে যুক্ত হয়। খোলপেটুয়া সাগর থেকে উঠে আসা অন্যতম প্রধান জোয়ার ভাটার নদী।